বাংলাদেশ বিশ্বের সৌন্দর্য পিপাসু প্রকৃতি প্রেমী মানুষের কাছে প্রিয় একটি দেশ। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে বহুল আলোচিত একটি দেশ। সুন্দরবনের কোলঘেঁসে অবস্থিত সাগর কন্যা কুয়াকাটা। বঙ্গোপসাগরের তীরে নারিকেল বন, খন্ড খন্ড ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট ও ঝাঁউ বনের সাথে বাদামী বালুময় ৩০ কি: মিটার দীর্ঘ অত্যন্ত নিরাপদ ও সুন্দর এ সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশে শুধুমাত্র এই সমুদ্র সৈকতে রয়েছে একই স্থান থেকে সুর্যোদয় ও সুর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগের এক বিরল সুযোগ। ইচ্ছে করলেই মাত্র ৪০ মিনিটের আনন্দময় সমুদ্র যাত্রার মাধ্যমে ঘুরে আসা যায় প্রকৃতির অসামান্য দান ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট, চিত্রল হরিণের গ্রাম ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের রাজ্য। এই সমুদ্র সৈকত ঢাকা হতে সবচেয়ে কম দূরত্বে অবস্থিত এবং প্রকৃতিগত ভাবে সম্পুর্ন নিরাপদ। এখানে রয়েছে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ বুদ্ধ মূর্তি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কুয়াকাটাকে একটি বিশেষ পর্যটন জোন ঘোষনা করেছে। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে কুয়াকাটার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ও স্বল্প ব্যায়ে অত্যন্ত আরামদায়ক। সড়ক ও নৌপথে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি অতি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর।
এই সব সম্ভাবনার কারনে প্রতি বছর কুয়াকাটার জমির মূল্য বাড়ছে প্রায় ৩ গুন, তাই কুয়াকাটায় বিনিয়োগ সর্বাপেক্ষা লাভজনক ও নিরাপদ।
কুয়াকাটার নাগরিক সুবিধা বহুগুনে বৃদ্ধি করে আধুনিক পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করতে আমরা গড়ে তুলছি এক অপরূপ সুন্দর বিনোদন নগরী। সমুদ্র সৈকত থেকে একটু নিরাপদ দুরত্বে নদীর তীরঘেঁসে জালের মত বিস্তৃত প্রাকৃতিক ও অপরূপ সুন্দর কৃত্রিম লেক বেষ্টিত অত্যন্ত সুপরিকল্পিত এই পর্যটন ও বিনোদন নগরী। ভ্রমন প্রিয় সৌখিন ও রুচিশীল মানুষের নিরিবিলি আনন্দময় অবকাশ যাপনের কথা বিবেচনা করে এবং বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ মুনাফা নিশ্চিত করতে ভূমির বহুমূখী ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। কমিটমেন্ট অনুযায়ী সময়মত প্লট হস্তান্তর ও সাশ্রয়ী মূল্যে দীর্ঘমেয়াদী কিস্তির সুবিধা দিয়ে সম্মানিত ক্রেতাদের সন্তুষ্টি লাভ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
দূষণ ও কোলাহল মুক্ত ছায়াঘেরা পাখি ডাকা সবুজ গাছগাছালি, লেকের নির্মল টলটলে জলের মাঝে চরে বেড়ানো হংস দলের সাথে রং বেরঙের মাছের ঝাঁক এ এক স্বপ্নীল পরিবেশ। এখানে থাকছে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, কনভেনশন সেন্টার, ব্যাংক, বীমা, শপিংমল, ঈদগাহ, মসজিদ, মন্দির, চার্চ এবং কবরস্থান। আরো থাকছে সার্বক্ষণিক স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা, ফায়ারব্রিগেড, পুলিশ ফাঁড়ি, নিজস্ব সিকিউরিটি ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, অটোমেটেড স্যুয়ারেজ প্লান্ট, সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট, বায়োগ্যাস প্লান্ট ইত্যাদি।
এমিউজমেন্ট পার্ক, ওয়াটার পার্ক, থিমপার্ক, বোটিং ক্লাব, ইকো পার্ক, চিল্ড্রেনস্ পার্ক, রেস্তোরাঁ, খেলার মাঠ সহ আধুনিক সকল বিনোদন ব্যবস্থা ও প্রাত্যহিক নাগরিক সুযোগ সুবিধা এই প্রকল্পকে দিয়েছে এক নৈসর্গীক আবহ।
পর্যটন, বিনোদন, অবকাশ যাপন, ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির জন্য এখানে থাকছে কয়েকটি বিশেষ জোন। প্রকল্পের শুরুতেই রয়েছে ষ্টুডিও এপার্টমেন্ট জোন। হোটেল ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠনের জন্য একটি বিশেষ বিজনেস জোন। মনমুগ্ধকর ডুপ্লেক্স জোন। লেক বেষ্টিত রিসোর্ট জোন, যার চারদিক বেষ্টিত লেক জোনটিকে মূল প্রকল্প থেকে আলাদা করেছে এবং একটি মাত্র প্রবেশ পথ যেখানে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের জন্য প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকবে। সংরক্ষিত সুসজ্জিত এই জোনে থাকছে একটি অত্যাধুনিক রিক্রিয়েশান ক্লাব, বোটিং ক্লাব, রিসোর্ট জোন, এক বিঘা ও তারও বেশী আয়তনের হিল-হাউজ সহ অভ্যন্তরীণ মিঠাপানির লেক। আরও থাকছে এডুকেশন ও হেলথ্ জোন এবং মূল্য সাশ্রয়ী রেসিডেনসিয়াল জোন। প্রকল্প থেকে নদী ও সমূদ্র পথে সুন্দরবন ভ্রমনের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যাবস্থা।
শুধু আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নই নয় আপনার সাধ ও সাধ্যের কথা বিবেচনা করে প্রবাসী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে তুলনামূলক স্বল্প মূল্যে দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তির সুবিধা নিয়ে আপনিও হতে পারেন লেক আইল্যান্ডের একটি বিশেষায়িত আকর্ষনীয় প্লটের গর্বিত মালিক।
নীল সাগরের কোলঘেঁষে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সাগরকন্যা কুয়াকাটার এই লেক আইল্যান্ডই হোক আপনার সর্বোচ্চ লাভজনক নিরাপদ বিনিয়োগ ও অবকাশ যাপনের নির্মল নিঃস্বর্গ।